চলে যেতে চাই- অথচ কোথাও হয়নি যাওয়া কোনদিন। কোথায় যাবো, কোনখানে? কোন্ কোন্ পথে- জানা নেই, ঘরবাড়ি বিত্ত-বৈভব তবে কি আমায় অন্য একটা পথে- ভুল পথে নিয়ে যায় ?
আমার স্মৃতিতে সাজানো আছে কিছু দৃশ্যাবলী, সেখানে নদীর বুকের পাল তুলে যায় মাঝি- পথে যেতে যেতে কিশোরী বধূ চোখ তুলে চায় সলাজে অথবা রাখাল বালক গরু রেখে ঘুড়ির লাটাই হাতে স্বপ্নের ফানুস ওড়ায় আকাশে। এ সবই আমার একান্ত মনে হয় অন্যকিছু নয়-কিছুই না।
বাবার কথা আছে বুকের মধ্যে গীতি কবিতার খাতায়, একদিন মধ্য রাতে বাবা আমাকে নৌকায় নিয়ে গেলেন ছোট্ট ডিঙি- বাবা মাঝি, আর আমি হলাম চরনদার। সেদিন ছিলো শুল্ক পক্ষ- মধ্য আকাশে ছিলো পূর্ণ চাঁদ।
আমাদের নৌকা এগিয়ে চলতে চলতে বাবা বললেন, ‘কীরে ভয় লাগে বুঝি?’ তারপর বললেন, ‘কাছে আয়, আমার ঠিক পাশে এসে বোস, ভয় থাকবে না তোর’ আমি ঠিক বাবার কাছে গিয়েছিলাম। নৌকা তখন চলছিল।
আছে, মাকে নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে তার মধ্যে একটা বলি আজ। একদিন মা খুব পেটালেন আমাকে আমি হাসছি, শুধু হাসছি, যেন কান্না ভুলে গেছি আমি মা অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে বললেন- ‘দু:খ- তোকে কাঁদাতে পারলাম না কখনো!’
একটি মেয়ে আমাকে বেঁধে রেখেছিলো অনেকদিন। তারপর একদিন বাঁধন কেটে গেলো সে’ও। কেমন অচেনা অজানা হয়ে গেলো সব সেই দু’টি চোখও, যে চোখে আমি সাগর দেখতাম।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ১১
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।